চীনা প্রতিষ্ঠানের জন্য `আলিবাবা’ নামটি কিছুটা ভিন্নধর্মীই বলা চলে। এর প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা ছিলেন একজন ইংরেজির শিক্ষক। কর্পোরেট জগতের একজন হিসেবে তাঁকে ভাবাই যায় না।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে এই আলিবাবা কোম্পানির আইপিও বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫বিলিয়ন ডলারে। গুগলের পরেই আলিবাবা এখন সবচেয়ে নামী অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিই পঞ্চাশ পার করা জ্যাককে এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনীর মর্যাদা এনে দিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি আগে এমনটা ছিল তা নয়। আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়াতে এর অনেক সময় লাগে।
স্টক মার্কেটে কোম্পানির রেট ওঠানামা করার পরেও আলিবাবা একার চেষ্টাতেই শেয়ার বাজারকে নিজের আয়ত্বে আনে। পরে একটা ভালো অবস্থায় উঠেও যায়। এই কোম্পানি সেবা নিচ্ছে বর্তমানে ৪০ কেটির বেশি মানুষ। চীনা হিসেবে জ্যাক কিন্তু অন্য সব কর্পোরেট ব্যক্তি থেকে আলাদা। চীনের বাইরেও আলিবাবা এখন তার খ্যাতি ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে জ্যাক মা দেশের স্বনামধন্য সবার কাছ থেকেও খ্যাতি কুড়াচ্ছে। বিশ্বের রাজনৈতিক ও কর্পোরেটদের কাছেও জ্যাকের সব কর্মকাণ্ড শেয়ার করা হয়। তিনি বিভিন্ন কর্পোরেট জায়ান্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। জ্যাক এমন একজন পুঁজিপতি, যে কিনা ইংরেজি এবং চাইনিজ দুটো ভাষাতেই সমানে কনফারেন্স চালাতে পারেন।
আলিবাবা প্রথম খোলা হয় একটা ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে। এই স্বল্প পরিসরে তার সঙ্গে ছিল তার স্ত্রী ক্যাথি এবং আরও ১৬জন। শুরু থেকেই ভালো কিছু করার প্রতিজ্ঞা ছিল তাঁর।
জ্যাক অন্যান্য বিলিওনিয়ারদের তুলনায় আলাদা। খুব সাধারণদের মতো করে উন্নয়নের চেষ্টা করে। তার বেয়াড়া কিছু আকাঙ্ক্ষা এবং পদক্ষেপের কারণে তাকে `ক্রেজি জ্যাকও‘ বলা হয়।
চীনা অর্থনীতির বাজার অন্য সব বাজার থেকে আলাদা। আলীবারা এখন ই কমার্সের পাশাপাশি মিডিয়া এবং ফাইন্যান্স নিয়েও ভাবছে। চীনের সব চ্যালেঞ্জগুলোকে উত্তরণ করা এর লক্ষ্য।
চীনের ব্যাপ্তি ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে এর সেবা চালুর চেষ্টা চলছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রেসিডেন্ট মাইকেল ইভান জানান, আলিবাবার জন্মে চীনে, কিন্তু আমরা বাইরেও ছড়িয়ে যাবো।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন