মুহাম্মাদ শামসুদদোহা তালুকদার
শরীরে পতাকার ডিজাইন আবৃত দুটো ছবির অন্তর্নিহিত মর্মার্থ নিয়ে ফেসবুকে নানান ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ চলছে। ট্রলও হচ্ছে প্রচুর। নারী দেহের পেছনের অংশে পতাকার লাল দৃশ্য নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
প্রিয় অডিয়েন্স! পতাকার সূর্য অংকিত রক্ত লাল বৃত্তটি শরীরের কোন অংশে দৃশ্যমান? একটি নারীদেহের স্ফীত ঐ অংশে পতাকার সিম্বল থাকায় আমার কোন সমস্যা নাই।
কল্পণা করুন, নিতম্ব বরাবর না থেকে যদি ঠিক বিপরীতে সামনের অংশে থাকতো সেটা কি সুন্দর দেখাতো? কতো কথাই না বলা হতো তখন! শরীরের পিক অংশে কেন পতাকা? এটা বেশী অশ্লীল হয়েছে।
বাংলাদেশীরা বরাবর অনুসন্ধিৎসু মননের। তখন যে শব্দগুলো ব্যবহার হতো সেটা কি ভালো লাগতো। আমরা বড়রা তখন শরম পাইতাম।
বাদ দেন, সামনে যদি আপার অসমতল অংশটা পতাকার লাল বৃত্ত দ্বারা ঢেকে দেয়া হতো তাহলে কবি ও সাহিত্যিক মননের ফেসবুকাররা কি সব শব্দ ব্যবহার করে ট্রল করতো! কল্পনা করুন। সুতরাং যেভাবে আছে সেটা কমমন্দের নয় কি?
এবার আসেন ব্যাক আপারে যদি থাকতো সেটাও একটা দর্শনীয় কিছু হতো কিন্তু এ শ্রেনীর নারীরা সেটা করবেনা। কারণ তারা ঐ অংশটা অনাবৃত রেখে জানান দেয় সে এখনো একজন যৌন আবেদনময়ী। অথচ সে বিগত যৌবনা। নারীদেহের আপার ব্যাক ঢেকে রাখাটা দরকারই মনে করেনা তারা। যারা দেখার বা যা বুঝার সাম্পল দেখে তা বুঝে নিবে। সুতরাং পীঠ ঢাকাটা এদের পক্ষে সম্ভব না।
তাহলে এরা পতাকার প্রতি সম্মাণ জানাবে না? পাশ্চত্যের নারীরা নিজ দেশের পতাকার ডিজাইন অন্তর্বাসে ব্যবহার করে। তারা কি তাহলে দেশকে ভালোবাসে না? নিজ দেশকে অমর্যাদা করে? ওদের ভালোবাসার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয় যৌন স্থাপনায় এবং পায়ের জুতায়। এটা এ দেশে করতে যেওনা আপুরা।
আমি একটা সলিউশন বের করছি। আসলে নারীদেহ ঢেকে রাখার জিনিস। সেটা না হলে ইউসড ভাবা হয়। মাথা বা মাথার চুল ঢেকে রাখাটা একজন মুসলিম নারীর শালীন প্রাকটিস। পতাকারে যখন তুমি এতই ভালবাসো তখন সেটিকে মাথায় রাখো, সেটাই হবে সর্বোচ্চ সম্মাণনা। হ্যাঁ, পতাকাটাকেই একটা ওড়না বানাও। আর সেটা সুন্দর করে ব্যবহার করো হিজাবের মতো করে। এর চেয়ে নৈসর্গিক দৃশ্য আর হয় না রে ওহে যুবতী বালিকা!
এবারে প্রথম ছবিটি দেখুন। মেনশন করছি ঐ সব মূর্খকে, যারা বলে বেড়ায় মাদরাসায় পড়ুয়াদের মাঝে দেশপ্রেমের কমতি আছে। এ দৃশ্যটা আমার চোখে সেরা নান্দনিকতা। পতাকার লালবৃত্ত কোমল বুকটা আবৃত করেছে। এটা হার্টটাচিং সিনারিও। চোখে পানি আসার মতো টার্মস।
হ্যাঁ, নিজ দেশের জাতীয় পতাকারে পরম মমতায় বুকে ধারণ করাটা নিঃসন্দেহে ভালবাসার চুড়ান্ত প্রকাশ। এ ছবিটা যে কোন বিচারকই দশে দশ দিবেন। ভালোবাসার ঢং দেখতে চাইলে এ ছবিটা দেখুন।
মাদরাসার এ ছাত্রগুলো নিজ ইউনিফর্মের উপরে পতাকা ডিজাইন দিয়ে কোট বানিয়ে সেরা দেশপ্রেম দেখিয়েছে। এটা ইউনিক। পতাকার সম্মাণ এদের দ্বারাই রক্ষা হবে। প্রমাণ হচ্ছে কারা মাতৃভূমির প্রকৃত দেশপ্রেমিক আর কারা মেকি দেশদরদী। চমৎকার এ ছবিটা দেখে চোখের একটা ইবাদাতের হক আদায় হলো।
নারীর পাছার উপরে পতাকা দেখলে অন্যদের মুখে আর মননে অশ্লীলতা ভর করে যা মানুষের সহজাত বিষয়। পতাকার সম্মাণ করুন পুরুষ হলে, বুকে ধারণ করে, আর নারী হলে তা দ্বারা মাথা আবৃত করে। এর বাইরে যা হবে তা মূলতঃ অশ্লীল উপস্থাপণা, আর সেটা হবে পতাকার চুড়ান্ত বেইজ্জতি।
লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন