ডা মুহাম্মদ তালহা
২০১৮ সালের লাক্স চ্যানেল আই চামড়া প্রতিযোগীতা স্লোগান হলো 'দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়'।প্রশ্ন হলো এই অদেখা কি ? এই অদেখা মুলত অশ্লীল জগতকেই ইঙ্গিত করে।
কারন এই সুন্দরী তথা সংধারী প্রতিযোগিতা একটা মেয়েকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে এবং হাই ক্লাস পতিতাবৃত্তির দিকে ঠেলে দেয়। কিভাবে হয় তা জানতে পড়ূন- https://goo.gl/qhzUUF
এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা চায় মেয়েদের কর্পোরেট যৌনদাসী বানাতে যার বিভিন্ন ইভেন্টে শরীরের মাপ দিতে হয়, তাও সে মাপ আবার পুরুষদের নির্ধারিত মাপের ছকেই। বুককে বাধ্য করতে হবে ৩৬ ইঞ্চি থাকতে, কোমর হতে হবে ২৬ ইঞ্চি। ফটোস্যুটের জন্য পোজ দিতে হবে, তাও অর্ধ-উলঙ্গ হয়েই।দুনিয়াজুড়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় এমনটাই রীতি, যা পুরুষেরা তৈরি করেছে।https://goo.gl/P8LfM6
২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ ফারিয়া শাহরিন একটি পত্রিকায় সুন্দরী প্রতিযোগীতার মেয়েদের কিভাবে কর্পোরেট যৌনদাসী বানাতে চায় তার একটি ফিরিস্তি দিয়েছে। https://goo.gl/1xjPts
মিডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ও প্রচারে বিভোর সবসময়ই। মিডিয়া ভীষণ নারীবান্ধব, মানবিক সবসময় এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। বাণিজ্যিক মিডিয়ার প্রভু পুঁজি। ফলে সে যাকে বিকোতে পারে, যা বিকোনো যায়, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে স্বাভাবিক। পণ্য হিসেবে, নারীর চেয়ে কম বিনিয়োগে অধিক মুনাফা আর কোন পণ্যের নিশ্চয়তা আছে?
ফলে বাণিজ্যিক মিডিয়া মেধাবী, প্রতিভাবান মেয়েদের চেয়ে অমেধাবী, অপ্রতিভাবানদেরই খোঁজে বেশি। ফলে শুধুমাত্র খোলামেলা হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে নায়লা নাইম তারকা হয়।
মিডিয়ায় ‘সাহসী মেয়ে’ বলে একটি টার্ম চালু রয়েছে। প্রায়ই দেখা যায়, শরীরসর্বস্ব, গা খোলা মেয়েদের সাহসী বলে সমর্থন জোগাতে।
ধিক! সে মা-বাবাকে, যারা নিজ মেয়েকে অশ্লীলতায়, বেপর্দায়, বেহায়াপনায় ঠেলে দেয়। ধিক! সে সমস্ত মা-বাবাকে যারা ব্যভিচারিণী মেয়ের টাকা ভক্ষণ করে। ধিক! ওই সমস্ত মা-বাবাকে যারা আপন হাতে লালিত-পালিত প্রিয় সন্তানের জীবন ধ্বংস করে। মনে রাখবেন, এই পাপাচারের কারণে আপনার সন্তান জাহান্নামী হলে আপনিও জাহান্নামের আযাব থেকে রেহাই পাবেন না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন