শামসুল আলম
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ৫ দিনের সফর শেষ করে ফিরে গেছেন নিজ দেশে। এটি সফর নাকি ভ্রমন, সে সম্পর্কে একটি প্রশ্ন রয়ে গেছে। সফরের সাথে সাধারনত একটি রাষ্ট্রীয় বা সরকারী দাওয়াতের বিষয় জড়িত থাকে। কিন্তু প্রণবের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের বা রাষ্ট্রীয় দাওয়াতে হয়েছে, এমন কোনো তথ্য ঢাকা বা দিল্লির সরকারী তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এটি ব্যক্তিগত সফর বা ভ্রমন হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
বিশ্বের কোথাও সাবেক রাষ্ট্রপতির পরদেশে ব্যক্তিগত সফরে গেলে এতটা বাড়াবাড়ি করে কি না, সেদিক থেকে এই সফর একটি ব্যতিক্রম হয়ে রইলো। সম্ভবত এটি একটি নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশের বর্তমান বিনাভোটের সরকার প্রণব বাবুকে খায়খাতির করেছে চরম- রাষ্ট্রপতির মর্যাদা, প্রটোকল, ও নিরাপত্তা দিয়েছে! বিমান বন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী, রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল শফিকুর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে প্রণব বাবুর সিপিজি (ক্লোজ প্রটেকশন গ্রুপ) কমান্ড করছেন। সে হিসাবে করতে গেলে সফরটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট সফরে এলে যা ঘটতো, তাই করেছে! আসলে এটি ঢাকা থেকে বিনাভোটের সরকার প্রধান শেষ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রনে হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য! মূলত এটা ছিল ‘বোট রেসকিউ‘ মিশন।
তিনি প্রণব বাবু। নড়াইলের জামাই বাবু, যেনো সব কিছুতে একটু বাড়াবাড়ি। ব্যক্তিগত সফরে আগম মেহমানকে অর্থমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, ও রাষ্ট্রপতি সকলেই তিন/চার দফা অফিসিয়াল ভোজে আপ্যায়িত করেছেন। জামাইকে শ্বশুর বাড়িতে খাতির করলে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু কতবার যে কতভাবে ফুল দিয়ে বরণ করেছে, সাক্ষাৎ করেছে ঢাকার ক্ষমতাসীনরা, তার সীমনা নেই। যাতে করে প্রশ্ন উঠেছে – কেনো এত তোয়াজ এবং বাড়াবাড়ি। তবে এখানে যত কিছুই হয়েছে, সবটা বাংলাদেশের জনগনের ট্যাক্সের টাকায়। এ এক ধরনের ক্ষমতার বাড়াবাড়ি- অন্যের পয়সা উড়িয়ে এক্সট্রা ফুটানি!
প্রণব বাবুকে রাষ্ট্রীয় মেহমান ঘোষণা না করেই রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হলো। তবে সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের রিলিজ করা একটি ছবিতে, যেখানে প্রণব বাবু সামনে বসে আছেন চেয়ারে মুরব্বীর মত ভারিক্কী ভাব ধরে, তার পেছনে দাড়িয়ে ফটোসেশনে আছেন স্পীকার শিরিন শারমিন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত, বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, আরও আছেন ভারতের হাইকমিশনার এবং প্রণব বাবুর মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি। এই ছবিটি নিয়ে এত বেশি সমালোচনা হয়েছে শেষ পর্যন্ত ছবিটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় হাইকমিশন। এদেশের তিন সিনিয়র মন্ত্রী ও স্পীকার প্রণবের পিছনে দাড়িয়ে ছবি নিলেও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে এরশাদের দাড়িয়ে থাকা নিয়ে। কেননা এরশাদ হলেন বাংলাদেশের অনেক পুরোনো সাবেক রাষ্ট্রপতি (স্বৈরশাসক সে প্রশ্ন ভিন্ন), ২৭ বছর আগে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, আর প্রণব হলেন সেদিন।
এরশাদ যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখন প্রণব ছিলেন খুবই সাধারন মানের একজন মন্ত্রী। অন্রদিকে এরশাদ যখন রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়েন, তখন প্রণব বাবু কংগ্রেস থেকে ছিটকে সমাজবাদী দল গঠন করেন। উপরন্তু এরশাদ প্রণব বাবুর চেয়ে বয়সে পাঁচ বছরের বড়। এসব বিবেচনায় এরশাদ সাহেব কোনো ভাবেই দাড়িয়ে ফটোশেনে অংশ নিতে পারেন না, তাছাড়া তিনি সাবেক সেনাপ্রধান হিসাবে ম্যানারস এবং প্রটোকল কম জানেন না। প্রণব বাবুর উচিত ছিলো আরেকটি চেয়ারের ব্যবস্খা করে এরশাদকে পাশে বাসানো। ভারতীয়রা এতটা ভদ্রতা ভুলে যায়নি, তবুও এরশাদের সাথে এই ব্যবহার সম্ভবত দাসত্বজনিত কারনে। অন্যদিকে এরশাদের যদি ব্যক্তিত্ব থাকতো, বা লজ্জা থাকত, তবে তিনি এহেন বালকসুলভ কাজ করতে পারতেন না। অবশ্য প্রণব বাবু হলেন বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের প্রাণ, তথা বর্তমান বিনাভোটের সরকারের প্রাণভোমরা। তার কাছে ঢাকার ক্ষমতাসীনরা যেকোনো পর্যায়ে নেমে যেতে প্রস্তুত।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি ছবি দেখা যাক। ২০১২ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভারতে সপ্তাহ ব্যাপি সফরের শেষ দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির সাথে বৈঠকের সময়কার। এ ছবিটিও ভারতের সরকারী রিলিজ করা। এতে দেখা যাচ্ছে প্রণব মুখার্জি সামনে হাত উঁচু করে ম্যাডাম জিয়াকে অভিবাদন জানাচ্ছেন, তখনও ম্যাডাম ঠায় দাড়িয়ে নিজ ব্যক্তিত্ব নিয়ে। এ ছবিতে কোনোভাবেই মনে হচ্ছে না ম্যাডাম জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে প্রণব মুখার্জির যে অঙ্গভঙ্গি করছেন, তা মিলিটারি সেক্রেটারীর কাজ! তার মানে, বেগম জিয়ার কাছে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির হাল হলো ঐরূপ!
প্রশ্ন উঠে, সাবেক এ রাষ্ট্রপতি প্রণবের সাথে যেভাবে নত হয়ে ছবি তুলেছে এরশাদ, তোফায়েল গংরা, তাতে উনি যদি দিল্লির নগদ রাষ্ট্রপতি হতেন, তবে হয়ত দাড়িয়েও থাকতে পারতেন না, হয় ফ্লোরে বসে পড়তেন, অথবা পদচুম্বনে ব্যস্ত হয়ে যেত চামচার দল!
প্রণব কর্তার এত তোয়াজ কেনো, সেটা বিভিন্ন সময় দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে গমনকারী অনেক ভারতসেবীদের লেখা থেকে বোঝা যায়। এদের মধ্যে আছে আবদুল কাদের সিদ্দিকী যিনি ১৪ সালের নভেম্বরে ৮০ লাখ টাকার মিষ্টি-শাড়ি নিয়ে দিল্লি গিয়ে প্রণব সেবা করে আসে, নঈম নিজাম ও পীর হাবিবদেরা নাকিস প্রণবেনর কাছে যেত প্রায়ই। তাদের লেখা পড়ে যে কারো মনে হতে পারে, বাংলাদেশের আসল মালিক বুঝি প্রণব মুখার্জি, তিনিই ঢাকায় কাউকে ক্ষমতায় বসান এবং নামান।
এ প্রসঙ্গে একটা ঘটনা না বললেই নয়। ২০১০ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে ডঃ ইউনুস শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু কমপ্লেন করেন। সিং সাহেব বলেন, বাংলাদেশ বিষয়ে আমি তেমন কিছু করি না, আপনি সোনিয়া’জীর সাথে দেখা করেন। সোনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করলে তিনি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে দেখা করতে বলেন- বাংলাদেশ সম্বন্ধে দাদাই ভালো বোঝেন, ডিল করেন, এ বিষয়ে তিনিই চুড়ান্ত। প্রণবের সাথে দেখা করে ইউনুস যা যা বলেন, তা তো কিছু তো করেই নি, বরং পুরো কথাবার্তা হাসিনাকে জানিয়ে দেন প্রণব। এরপরেই ডঃ ইউনুসের কপাল পোড়ে, হাসিনা ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হয়ে ইউনুসকে তাঁর গ্রামীন ব্যাংক ছাড়া করেন। হাসিনাও গেলোবার দিল্লি সফরে গেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা বাদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে ওঠেন, এবং হাসিনা হেঁসেলে ঢুকে ‘ইলিশ ভাপা’ নিজে রান্না করে প্রণবকে খাইয়ে আসেন। এ থেকে বোঝা যায় প্রণবের সাথে হাসিনার সম্পর্কের মাত্রাটা কত গভীর।
শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পরিকল্পনায় ও স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় পিলখানায় বিদ্রোহ ঘটিয়ে ৫৭ সেনা অফিসার হত্যার পরে হাসিনা ক্ষমতা হারানোর অবস্থায় পড়লে দিল্লি কে প্রণব বাবু প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন- হাসিনার কোনো ক্ষতি হলে ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। এমনকি অর্থমন্ত্রী হয়েও ঢাকায় দৌড়ে এসে নিরাপত্তার ইস্যুতে হাসিনার সাথে গোপন মিটিং করে যান প্রণব। বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ, বাংলাদেশের বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত সবই প্রণবের নেয়া, হাসিনা বাস্তবায়ন করে মাত্র। আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না, এই হুকুম ছিল প্রণবের, যদিও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে সে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির ফাঁসির সিদ্ধান্তও প্রণবের, যদিও গেলো দু’দিন আগে চিটাগাঙ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট নেন প্রণব, সেটা ছিল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরির পিতা ফজুলল কাদের চৌধুরির প্রতিষ্ঠিত! এতে কোনো লজ্জা নাই! এই অনুষ্ঠানে প্রণব বক্তৃতা করেন উপমহাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড নিয়ে, তাতে উল্লেখ করে শেখ মুজিব, ইন্দিরা গান্ধি, বেনজি ভুট্টো, এমনকি পাকিস্তানের সেনাশাসক জিয়াউল হকের নাম। অথচ চট্টগ্রামে দাড়িয়ে প্রণব ভুলে যান সেই মাটিতে শাহাদাত হওয়া রাষ্ট্রপতি জিয়ার নাম নিতে। এটা হলো বিএনপির প্রতি চরম বৈরিতার বহিঃপ্রকাশ।
এভাবে আরও নানা ঘটনায় দেখা যাবে প্রণব কখনই বাংলাদেশ বা এদেশের জনগনের বন্ধু ছিল না। এদেশের একটিমাত্র দল আওয়ামীলীেগের প্রতি একচোখা। অন্যদিকে জেনারেল এরশাদ হলো ভারতের পুরানা পা-চাটা, যিনি একটু হলেই দৌড়ে যান দিল্লি, কারও সাথে দেখা করে এসেই হুড়মুড় করে নেমে পড়েন! ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এরশাদকে টেলিফোন করে বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জাতীয় পার্টি যেনো ইলেকশনে অংশ নেয়, এবং হাসিনাকে ক্ষমতায় ফের বসাতে সাহায্য করে (সুজাতা সিং মিশন)। তারও আগে ঐবছর মার্চে হরতালে অগ্নিগর্ভ অবস্থার মধ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব ঢাকায় এলে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাক্ষাৎ বাতিল করেন, কেননা সুস্পষ্ট খবর ছিল- ভারতীয় পরিকল্পনায় পথিমধ্যে হামলা করে খালেদা জিয়াকে হত্যা করা হতো, আর এতে দোষ চাপানো হতো হরতাল ডাকা জামায়াতে ইসলামীর ওপর।
অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি শিকার! খালেদা জিয়া সাক্ষাৎ বাতিল করায় চারিদিকে নিন্দায় মুখর হয়ে ওঠে ভারতপন্থি ও সুশীলরা- যেনো গেলো গেলো গেলো! খালেদা জিয়ার কত্তবড় সাহস যে, দিল্লিপতির সাক্ষাৎ বাতিল করে? অথচ ৫ মাস আগে বেগম জিয়া যখন দিল্লিতে সফরে যান, তখন পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকটি ৫ দিন ঝুলিয়ে রেখে চাপাচাপি করে জামায়াতকে জোট থেকে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি আদায়ের চেষ্টা করে, অবশেষে শেষ মুহুর্তে সাক্ষাৎ দেন প্রণব। সেটি নিশ্চয় কোনো বেআদবী ছিল না! অথচ ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী সলমান খুরশীদ বইতে লিখেন, প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরের আগেই হাসিনাকে গ্রীণ সিগনাল জানিয়ে দেয় দিল্লি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিনাভোটের নির্বাচনের বুদ্ধিও প্রণবের। ২০১৬ সালে প্রণব সার্টিফিকেট দেন, “হাসিনার আন্তর্জাতিক মানের গণতন্ত্র”! তিন দিন আগেও প্রণব ঢাকায় বললেন- গণতন্ত্রের পথেই আছে হাসিনা। এসব কারনে প্রণব এবং হাসিনাকে আলাদা করতে না পেরে ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানা একটু ক্ষেপেই লিখেছেন- বালেশ্বর প্রণব- অর্থাৎ বালের যে ঈশ্বর। হিন্দিতে বাল শব্দটিকে চুল অর্থ হলেও এদেশে এর অর্থ একটু নেতিবাচক। অবশ্য হালে বাল (BAL) শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসাবে। সে হিসাবে বালেশ্বর বলতে আওয়ামীলীগের ঈশ্বর বোঝানো হয়ে থাকতে পারে।
তো এই প্রণব হচ্ছে বালেশ্বর, যিনি বাংলাদেশের ক্ষমতার কারিগর! যদিও প্রণব ঢাকা থাকতেই আনন্দবাজার লিখেছে, সামনের ইলেকশনে আওয়ামীলীগের বেইল নাই। ভোটে যখন কোনো ভবিষ্যত নাই, তাই প্রণবের পদতলে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় আছে কি? এ অবস্থায় এরশাদ, তোফায়েল, এবং তাদের প্রধান যদি প্রণবের পদযুগল চুম্বন না করে থাকে, তবে তার জন্য শো’কজ করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না! সাধু সাবধান! (ফেসবুকে থেকে )
পাঠক মন্তব্য
বাংলাদেশের সাড়ে ৮ কুঠি ভোটারের উচিত ছিল প্রণবকে ঝাড়ো দিয়ে সংবর্দনা দেওয়া এবং থু থু দিয়ে সেলুট দেওয়া। হাসুর ভাই এরশাদ, সেতো এখন শুধু স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যে আরো নিচে নামতে বাধ্য,একটু নড়াচড়া করলেই বোন হাসু তাকে লাল ঘরে অন্দকারে তিলে তিলে মারবে।
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন