খেলাধুলা বা শারীরিক ব্যায়াম সম্পর্কে ইসলাম কী বলে? ইসলামে কি আদো খেলাধুলা বা শারীরিক ব্যায়াম করার অনুমোদন আছে?
খেলাধুলা করার জন্য কি ইসলামে নারী-পুরুষের জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম-নীতি আছে? একজন নারী কি তার স্বামীর সাথে খেলাধুলা করতে পারবেন?
প্রত্যেক মুসলমান তাদের সাধ্যমত শরীরের যত্ন নিবে আল্লাহপাক এমনটাই চান। একারণেই শারীরিকভাবে দুর্বল ও হালকা হওয়ার বিষয়টা নিন্দনীয়। একজন মানুষ যে কোনো সময়ই মৃত্যু বরণ করতে পারে কিন্তু বেঁচে থাকলে যেন বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহর ইবাদতগুলো ভালোভাবে আদায় করতে পারে সে চেষ্টা প্রক্যেকেই করতে হবে। আমরা আশা করবো আল্লাপাক আমাদের সকলকেই দীর্ঘ জীবন দান করবেন।
শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া বা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়া আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু আমাদের সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যেন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে না পড়ি।
শরীর আল্লাহপর পক্ষ থেকে একটি বড় নেয়ামত। আমাদের উচিত হবে সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা। মুসলমানদের উচিত হবে নিজেকে আল্লাহর পথের জন্য প্রস্তুত করা।
নবী সা. বলেছেন, যে ঈমানদার ব্যক্তির শারীরিক শক্তি আছে, তিনি শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে প্রিয় সেই মুমিন অপেক্ষায় যে দুর্বল, শক্তিহীন, যার শারীরিক শক্তি কম। (মুসলিম শরীফ)
বিভিন্ন হাদিসে এসেছে, নবী সা. সর্বদাই তার শিষ্যদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করার নির্দেশ দিতেন।
তিনি বলতেন, আল্লাহর জিকির ছাড়া যেকোনো কাজই পথভ্রান্ত হয়ে আল্লাহকে অগ্রাহ্য করার সমান, তবে এই চারটি কাজ ব্যতীত- নিশানার কাছে যাওয়া, ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, নিজের পরিবারের সঙ্গে খেলাধুলা করা অথবা সাঁতার শেখা।
এটা আমাদের মনে রাখতে হবে, নবী সা. এবং তার শিষ্যরা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং সবল ছিলেন। সে সময়ে তারা অযথা সময় নষ্ট করতেন না।
আধুনিক সময়ের মুসলিমদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে তারা দিনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ শারীরিক ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে রাখে। এই সময়টুকু একটি জিমে গিয়ে অথবা বাইরে কোথাও গিয়ে ব্যায়াম করে।
প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষকে ব্যায়াম করার সময় উপযুক্তভাবে পোশাক পরতে হবে। ছোট পোশাক বা স্প্যানডেক্স মত এবং আঁটশাট পোশাক পরবে না। নিষিদ্ধ খেলাগুলোও খেলবে না যেমন বক্সিং। কেননা এ ধরনের খেলা ইসলামে জাযেজ নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন