আজ থেকে ৭০ বছর আগে ১৯৪৮ সালে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক তাদের বাড়ীঘর থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এই মজলুম মানুষগুলো আর কোন জায়গায় বসতি গড়ার সুযোগ না পেয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখনো গাজা উপত্যাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছে। সব মিলিয়ে ৭০ বছর আগের সেই দু:সহ দিনগুলোতে গোটা ফিলিস্তিন থেকে মোট ৭ লাখ ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিককে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয় যারা পরবর্তীতে গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরো বিভিন্ন স্থানের উদ্বাস্তুু শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
জায়নবাদী সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তরা ১৯৪৮ সালে যে বর্বরতার প্রদর্শন করেছিল তা স্বচোখে দেখেছিল সেই প্রজন্মের অসংখ্য মানুষ। ইসরাইলী দখলদারদের পাশবিক দখলদারিত্বের সেই ছবিগুলো এখনকার সময়ের ফিলিস্তিনিদেরকেও যেন প্রতি মুহুর্তে কুড়ে কুড়ে খায়। ফিলিস্তিনিরা নিজ ভুমি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার সেই কালো অধ্যায়কে নাকবা বলে অভিহিত করে। নাকবা আরবী শব্দ যার অর্থ হলো মহা বিপর্যয়। সেই বিপর্যয়ের পর ৭টি দশক চলে গেছে। যাদেরকে সেই সময়ে উচ্ছেদ করা হয়েছিল তারা হয়তো আর কেউই বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের পরবর্তী প্রজন্ম, তাদের সন্তান বা নাতি-নাতনিরা তাদের আদিভুমিতে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে এখনো নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তারা এমন একটি দেশে বাস করার স্বপ্ন দেখছে, এমন একটি ভুমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য লড়াই করছে, যাকে হয়তো তারা নিজ চোখে কখনো দেখারও সুযোগ পায়নি। কিন্তু তারা তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের বয়স্ক মানুষগুলোর কাছ থেকে সেই আদিভুমির যেই গল্প শুনেছে, তা শুনেই তারা তাকে ভালবেসেছে, সেই ভুমির সাথে আত্মীক সম্পর্কও গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তারা এখন তাদের বাপ দাদার জমিতে ফিরে যাওয়ার ব্যপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আর নিজেদের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করার লড়াইয়ে তারা এখন আন্তর্জাতিক মহলগুলোর সমর্থন ও স্বীকৃতি প্রত্যাশা করে।
নিজ ভুখন্ডে ফিরে যাওয়ার দাবীতে গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনীরা নতুন এক কর্মসূচী পালন করছে যার নাম তারা দিয়েছে গ্রেট রিটার্ন মার্চ। এই কর্মসূচীটি যে শুধু গাজার অবরোধ এবং সেখানে তৈরী হওয়া চলমান মানবিক সংকটের প্রতিবাদেই হচ্ছে তা কিন্তু নয়। বরং এই কর্মসূচীটি ইসরাইলীদের সামগ্রিক দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে, নাকবার বিরুদ্ধে যা শুরু হয়েছে ১৯৪৮ সাল থেকে। ফিলিস্তিনের আজকের তরুন প্রজন্ম খুব ভাল করেই জানে যে, চলমান মানবিক বিপর্যয় এবং অন্য সকল সমস্যার মুল কারনই হলো সেই নাকবা।
ইসরাইলের দখলদারিত্বের শিকার হয়ে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে গাজা। আজ ১০ বছর ধরে গাজা উপত্যকার ১৮ লাখ মানুষ এক ধরনের কয়েদীর ন্যায় জীবন যাপন করছে। গাজা ঘুরে এসে এক পর্যবেক্ষক সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “গাজার মানুষেরা যেভাবে বেঁচে আছে হয়তো নরকেও মানুষ এর চেয়ে ভাল অবস্থায় থাকে। সেখানকার মানুষ খাবার পায় না, বাড়ীগুলো খালি পড়ে আছে, সারাদিনের মাত্র দুই ঘন্টা সময় তারা বিদ্যুৎ পায়, কল ছাড়লে পানিও তারা পায় না। পাশাপাশি বেকারত্ব তাদের এইসব কষ্টকে যেন আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।”
সাম্প্রতিক সময়গুলোতে আন্তর্জাতিক পরাশক্তির নগ্ন সমর্থন পেয়ে ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ তাদের অবৈধ বসতি স্থাপন কার্যক্রমকে জোরদার করেছে। গত কয়েক মাসে ইসরাইলী সরকার শুধুমাত্র পশ্চিম তীরেই নতুন করে ৩ হাজার ৭শ ৩৬টি ইহুদি বসতি স্থাপনের একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনীদেরকে এই বার্তাই দিয়েছে যে এখন থেকে এই ইহুদীরা এখানেই থাকবে। সব মিলিয়ে এই ইহুদি স্থাপনাগুলোতে বসবাসরত ইহুদীদের সংখ্যা এখন ৬ লাখ ছাড়িয়েছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনীরা নিরাপত্তার অযুহাতে প্রতিদিন তাদের আদি ভূমিগুলোকে হারাচ্ছে। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা মূল সড়কের পাশে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে। প্রকারান্তরে ফিলিস্তিনীদেরকে উঠতে, বসতে কিংবা চলতে চেকপয়েন্ট মোকাবেলা করতে হয়। দেয়াল টপকিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। কাজ করার জন্য বা কোথাও যাওয়ার জন্য ইসরাইলীদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। অবস্থা এমন হয়েছে যে, একজন ফিলিস্তিনী নাগরিক হয়তো তার বাড়ী থেকে ভূমধ্যসাগর দেখতে পারে কিন্তু সেই সাগরের পাড়ে যাওয়ার জন্য তার ইসরাইলীদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনেক ফিলিস্তিনী শিশু হয়তো সাগরের গল্পই শুনে যায়, কিন্তু এতসব নিয়মকানুন মেনে তাদের কখনো সেই সাগরের কাছেই যাওয়া হয় না। তাদের অনেকের কাছেই সাগরভ্রমণ এখন একটি স্বপ্নের মত।
প্রায় দিনই নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বানোয়াট অযুহাতে ফিলিস্তিনীদের বাড়ীগুলোকে ধ্বংস করে দেয় ইসরাইলী প্রশাসন। অনেক সময়ই ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনীদের বাড়ী ভাঙ্গে কারণ বাড়ীটি নাকি অনুমতি নিয়ে বানানো হয়নি। কিন্তু যখন ফিলিস্তিনীরা বাড়ী বানানোর অনুমতি আনতে যায় তখন তাদেরকে হয়তো আর অনুমতিই দেয়া হয় না কিংবা অনুমতি দিলেও অনেক বেশী টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে একজন মানুষের প্রতিদিন ১০০ লিটার পানি পেতে পারে। অথচ একজন ফিলিস্তিনী নাগরিক কখনোই ৭৩ লিটারের বেশী পানি পায় না। অন্যদিকে ইসরাইলের একজন নাগরিক পায় ৩০০ লিটারেরও বেশী পানি।
ফিলিস্তিনী শিশুরা স্কুলে পড়তে গেলে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। ফলে বিগত কয়েক বছরে স্কুলে ফিলিস্তিনী শিশুদের ড্রপআউটের সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে। ছেলে-মেয়েরা এত বিড়ম্বনার মধ্যে দিয়ে স্কুলে যাওয়ার বা পড়াশোনা করার আগ্রহটাও হারিয়ে ফেলছে।
অতি সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক আইনী সংস্থা একটি জরিপ চালিয়ে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের ভূখন্ডে যত পুরুষ মানুষ আছেন তার প্রায় ৪০ শতাংশ এখন নানা ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগে কারাগারে আটক আছেন। এদেরকে কোন বেসামরিক বা সামরিক আইনের আওতায় এনে বিচার করা হয় না। ফলে মূলত তারা কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় আটক আছেন এবং ততদিনই থাকতে বাধ্য থাকবেন যতদিন ইসরাইলী প্রশাসন চাইবে। এই বিপুলসংখ্যক বন্দী ফিলিস্তিনীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও নেই, কোন বিচার প্রক্রিয়াও চলমান নেই। এমনকি ইসরাইলী বন্দীশালায় অনেক ফিলিস্তিনী শিশুও আটক আছে, যাদের বিরুদ্ধে পাথর ছোঁড়া ছাড়া আর কোন অভিযোগই নেই। আর ইসরাইলী প্রশাসন সম্প্রতি যেই আইন অনুমোদন করেছে তার আওতায় শুধু পাথর ছোঁড়ার অপরাধে একটি শিশুকে ১০ থেকে ২০ বছরের কারাদন্ড দেয়া যেতে পারে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও সম্প্রতি বলা হয়েছে যে ২০২০ সালের মধ্যেই গাজা উপত্যকা সম্পুর্নরূপে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। অবশ্য বর্তমানে অবস্থা যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে গাজায় এখনই বসবাস করার মত আর কোন পরিস্থিতি নেই। ২০১৫ সালে গাজার মাথা পিছু আয় ছিল ৯৭১ ডলার, আর একই সময়ে পশ্চিম তীরের জনগনের মাথা পিছু আয় ৫ হাজার ৭৫৪ ডলার। আর অন্যদিকে ইসরাইলীদের মাথা পিছু আয় এখন ৪৫ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। ২০১৬ সালে এসে গাজায় বেকারত্বের হার পৌছায় ৪২ শতাংশে। একই সময়ে পশ্চিম তীরে বেকারত্বের হার ২৬ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা হলো গাজায় বেকার যুবকের সংখ্যা এখন মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ।
এবার আসা যাক চলমান গ্রেট মার্চ রিটার্ন কর্মসূচী প্রসংগে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হিসেবে এই পর্যন্ত এই শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ পালনকালে ৪৬ জন ফিলিস্তিনী সাধারন নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৫শ ১১ জন, যার অধিকাংশই শিশু ও কিশোর। ইসরাইলী সেনারা সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেখানো স্বত্বেও দুজন সাংবাদিককেও এইসময় হত্যা করেছে।
এই নিহতদের মধ্যে একজন হলেন ১৫ বছরের মোহাম্মেদ আইউব। যাকে ক্যামেরার সামনেই প্রকাশ্যে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। অথচ ফুটেজে দেখা গেছে আইউব ইসরাইলের সেনাদের বিরুদ্ধে কিছুই করেনি। তারপরও বিনা উস্কানিতে এবং বিনা অপরাধে লুকিয়ে থাকা ইসরাইলী স্নাইপাররা তাকে গুলি করে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, ঐ ফুটেজের পরের অংশে আইউবের মত সাধারন একজন কিশোরকে হত্যা করার আনন্দেও খুনী ইসরাইলী স্নাইপারটিকেও আনন্দ করতেও দেখা যায়। অন্যদিকে ইয়াসির মুরতাজা নামক যেই সাংবাদিককে এই বিক্ষোভ চলাকালে হত্যা করা হয় তিনি তার জনহিতৈষীমুলক কর্মকান্ডের জন্য গাজায় খুবই পরিচিত ছিলেন। ইয়াসির সেদিন ‘প্রেস’ শব্দটি আঁকা একটি জ্যাকেট পড়ে ছিলেন। অথচ সাংবাদিকতার সেই পরিচয় ধারন করার পরও তাকে হত্যা করতে দ্বিধা করেনি বর্বর ইসরাইলী সেনারা। অথচ নিহত হওয়ার দিন কয়েক আগে এই ইয়াসির মুরতাজা তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ‘ইউএস এইডের’ একটি পুরস্কারও লাভ করেন।
সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, ফিলিস্তিনীদের এই গ্রেট মার্চ রিটার্ন আন্দোলন ঠেকাতে এবার বেশ কিছু নতুন ধরনের বিষাক্ত অস্ত্র ও গ্যাস ব্যবহার করছে ইসরাইলীরা। এবার তারা বাটারফ্লাই বুলেট নামক এক ধরনের বুলেট ব্যবহার করেছে ফিলিস্তিনীদের উপর। এই বুলেটগুলো শরীরের কোথাও বিদ্ধ হলে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বেশী রক্তপাত হয়। বুলেটটি শরীরের ভেতরে ঢুকেই শিরা, ধমনী এবং হাড়গুলোকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে কোন কারনে বুলেটবিদ্ধ রোগী ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও শরীরের যেই স্থানে বুলেটটি লাগে সেটাকে কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দাবী করছেন এরকম স্বাস্থ্যহানিকর ও জীবনঝুঁকি বৃদ্ধিকারক বুলেট পৃথিবীর কোথাও আগে ব্যবহৃত হয়নি। কেননা বুলেটগুলো শরীরের ভেতরে গিয়ে বিস্ফোরিত হয় এবং শরীরের টিস্যুগুলোকে স্থায়ীভাবে ধ্বংস করে দেয়। ১৮৯৯ সালের হেগ কনভেনশন অনুযায়ী শরীরের ভেতরে গিয়ে বিস্ফোরিত হয় এমন ধরনের বুলেটগুলো ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হলেও বেআইনী এই কাজটি ইসরাইল বেপরোয়াভাবে করেই যাচ্ছে।
অনেকেই বলছেন গাজার দখলকৃত এলাকাগুলোকে ইসরাইল তাদের পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করছে। যখনই তারা নতুন কোন অস্ত্র তৈরী করে সেটা কতটা কার্যকর, তা যাচাই করার জন্য তারা গাজা উপত্যকার নিরীহ লোকগুলোকেই বেছে নেয়।
শুধু এই বাটারফ্লাই বুলেট নয়, এবারের দমন অভিযানে ইসরাইলীরা হলুদ-সবুজ মিশ্রনের একটি নাম না জানা বিষাক্ত গ্যাসও প্রয়োগ করেছে। এই গ্যাসটি কারও শরীরের ভেতরে যাওয়া মাত্রই তার খিঁচুনি শুরু হয়, হাত পা অসাড় হয়ে আসে ফলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে বাধ্য হয়।প্রথমদিকে এই গ্যাসটিকে সাধারন টিয়ার গ্যাস মনে করা হলেও পরবর্তীতে দেখা যায়, আক্রান্ত মানুষটি ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট ও মাইগ্রেনের ব্যাথায় আক্রান্ত হয় এবং তার হার্টবিট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের চেয়েও ছোট। তথাপি ইসরাইলই হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকারক দেশ।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ইন্টারনেটে বেশ ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায় ইসরাইলী সেনাবাহিনীর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার অধীনস্ত সেনাকে ফিলিস্তিনীদের বুকে সরাসরি গুলি করার আদেশ দিচ্ছেন। ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের এই অমানবিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে ইসরাইলী প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিবারম্যানের ভাষ্যেও। সম্প্রতি একদিনে ৯ জন ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার পর তিনি দম্ভের স্বরে বলেন, গাজায় যারা আছে তারা কেউই নিরীহ নয়। তাই ওদেরকে মেরে সৈন্যরা সঠিক কাজটাই করেছে।
ইসরাইলের এহেন মানসিকতার কারনে ফিলিস্তিনীদের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার সকল পথই এখন রুদ্ধ হয়ে গেছে। আর অন্যদিকে ফিলিস্তিনীদের আর ফেরার কোন পথ নেই। গাজার যুবকেরা তাদের চরম দৈন্যদশায় হাল ছাড়েনি। বরং আরো বেশী লড়াকু হয়ে তাদের আদিভুমিতে ফেরার সংগ্রামে তৎপর হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য সব দেশ যখন পশ্চিমাদের সাথে সমঝোতা করে টিকে থাকার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত, সেখানে ফিলিস্তিন এখনো ব্যতিক্রম। তারা বীর যোদ্ধার মত মাথা উঁচু করে নিজেদের অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই অনেকের চোখে গাজা উপত্যাকা এখন অন্ধকার টানেল হলেও সেই আঁধারের ভেতরে থেকেই ফিলিস্তিনীরা আশার আলো দেখতে পায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন